আমি অনেকদিন ধরে সৌদি আরবে বাস করছি, এবং এই সমস্ত বছর ধরে আমি একটি ক্ষেত্রেও নারী হয়রানির ঘটনা শুনিনি, ধর্ষণের মতো ভয়াবহ কিছু তো একদমই নয়। এখানে সামাজিক মানদণ্ড খুবই কঠোর, এবং নারীদের প্রতি যেকোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত আচরণ খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। এমনকি সম্মতির ভিত্তিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, যাকে "যিনা" বলা হয়, তা আইন দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কাজগুলোর শাস্তি গুরুতর—অবিবাহিতদের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত এবং বিবাহিতদের জন্য জনসমক্ষে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড। এগুলি শুধুমাত্র মানবসৃষ্ট আইন নয়, বরং মহাবিশ্বের স্রষ্টা মহান আল্লাহর আদেশ।
ইসলামে, যিনা এক ধরনের মারাত্মক পাপ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং যারা এতে লিপ্ত হয় তারা এই পৃথিবীতে শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচার অধিকার হারিয়ে ফেলে। এই আইনের পেছনে যে বুদ্ধিমত্তা রয়েছে তা হল, সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং সমাজের নৈতিকতা বজায় রাখা। শাস্তিগুলি একটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, নিশ্চিত করে যে এমন কাজগুলি ঘটবে না।
তবে, এটা হতাশাজনক যে বিশ্বের অনেক জায়গায় ধর্ষণের মতো বর্বর ও লাঞ্ছনাকর অপরাধ প্রায়ই দন্ডিত হয় না অথবা নরম শাস্তি দেওয়া হয়। ধর্ষকরা অনেক সময় মুক্তি পেয়ে যায়, তাদের ভয়াবহ কাজগুলি সমাজ বা আইনি সিস্টেম দ্বারা ঠিকমতো মোকাবিলা করা হয় না। এটি আমাদের বর্তমান বিশ্বের মূল্যবোধের প্রশ্ন তোলে। যখন এমন অমানবিক কাজগুলি চলতে থাকে, তখন আমরা কিভাবে সভ্যতার দাবি করতে পারি? সবচেয়ে অসহায় মানুষগুলো যদি সুরক্ষিত না থাকে, তবে ন্যায়বিচার কিভাবে নিশ্চিত হবে?
এখানে এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে এই ধরনের অপরাধ কিভাবে পরিচালিত হয় তার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এটি সমাজের নৈতিক কম্পাস এবং ন্যায়বিচারের প্রকৃত মানে সম্পর্কে মৌলিক প্রশ্ন তুলে ধরে। আমরা কোথায় বাস করছি যখন নিরপরাধরা কষ্ট পায় এবং অপরাধীরা মুক্তভাবে ঘোরে? আমরা কিভাবে এমন একটি পৃথিবী মেনে নিতে পারি যেখানে জীবন শূন্যতায় লঙ্ঘিত হয়?
No comments:
Post a Comment